Newsroom
নিদ্রাহীনতা: বাঁচার ১০ টি বিজ্ঞান সম্মত উপায়
Published: 10 Jul 2024শিক্ষার্থীদের থেকে শুরু করে ছোট বড় সকলেরই সুস্থ থাকতে হলে নিয়মিত ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। ঘুমের মাধ্যমে সারা দিনের ক্লান্তি দূর হয় এবং মন ও শরীরকে করে তোলে প্রাণবন্ত ও সতেজ। তাই নিয়ম করে প্রতিদিন রাতে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।
কিন্তু বর্তমানে অনেকেরই মোবাইল ফোনের আশক্তি এবং শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার কারণে ঘুমাতে পারেন না। আর সঠিকভাবে না ঘুমানোর ফলে সৃষ্টি হচ্ছে শারীরিক, মানসিক ও স্নায়ুবিক বিভিন্ন রোগ।
ঘুমের সমস্যা সাধারণত মাস খানেকের মধ্যেই ঠিক হয়ে যায়, তবে দীর্ঘদিন ধরে ঘুমের সমস্যা আমাদের জীবনের নানা রকম প্রভাব ফেলতে পারে। এর কারণে মারাত্মক ক্লান্তির সৃষ্টি হতে পারে।
আপনি যদি নিয়মিত ঘুমের সমস্যায় ভোগেন তার মানে হচ্ছে. আপনার ইনসোমনিয়া বা নিদ্রাহীনতা রয়েছে, ইনসোমনিয়া কয়েক মাস এমনকি কয়েক বছরও স্থায়ী হতে পারে।
রাতে ঠিক মতো না ঘুমালে সারাদিন ক্লান্তি এবং অস্বস্তিভাব থাকে অথবা ক্লান্তির জন্য দিনের বেলা কোন কাজে মন বসাতে পারছেন না। এ ধরনের বৈশিষ্ট্য যদি আপনার মধ্যে থাকে তাহলে বুঝতে হবে যে, আপনি আসলেই ইনসোমনিয়ায় ভুগছেন। তবে অনেকের মধ্যে এই বৈশিষ্ট্যগুলোর সবগুলো থাকতে পারে আবার নাও থাকতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা ইনস্টিটিউট এর তথ্য অনুযায়ী, ইনসমোনিয়া যদি তিন মাস বা এরকম সময় স্থায়ী হয় তাহলে তাকে বলে স্বল্পস্থায়ী ইনসোমনিয়া আর তিন মাসের বেশি স্থায়ী হলে সেটাকে বলা হয় দীর্ঘস্থায়ী ইনসোমনিয়া।
এদিকে বিভিন্ন মানুষের ঘুমের চাহিদাও ভিন্ন। তবে প্রাপ্ত বয়স্ক একজন ব্যক্তির দৈনিক ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমের দরকার হয়।
আপনি যদি সারা দিনের ক্লান্তিতে ভুগতে থাকেন তার মানে হচ্ছে আপনি হয়তো পর্যাপ্ত ঘুমাচ্ছেন না। তবে অনেকেই রাতে পর্যাপ্ত ঘুমাচ্ছেন না বলে চিন্তিত হয়ে থাকতে পারেন। অনেকের ক্ষেত্রে কম ঘুমও স্বাভাবিক হতে পারে।

Supper Admin
ergergerg